মোঃ আব্দুল্লাহ হক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান, জনগণের প্রিয় মুখ এবং ন্যায়-আদর্শের নির্ভীক যোদ্ধা অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল তার শিক্ষা, সংগঠন, আইন পেশা ও রাজনৈতিক জীবনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।২০০০ সালে বেলগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০২ সালে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। উচ্চশিক্ষার জন্য আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে অনার্স ও ২০০৯ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।শিক্ষাজীবন থেকেই তিনি নেতৃত্বের প্রতিটি ধাপে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ২০০৬-২০০৭ সালে সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং-এর নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। একই সময়ে বিশ্বখ্যাত সংগঠন ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অব মুসলিম ইয়্যূত এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯-২০১০ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও গবেষণা সম্পাদক হন।

২০১১ সালের জুলাই মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের পর আইন অঙ্গনেও রেখেছেন অম্লান দাগ। টানা পাঁচ বছর নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং পরপর দুইবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আইনজীবী মহলে তিনি সততা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠেন।সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকারের প্রথম দায়ের করা দুটি রাজনৈতিক মামলায় ১ নং আসামী হয়ে ৫৪ দিন কারাভোগ করেন। আবার ২০১৮ সালে পৌরসভার আমীর থাকাকালীন জেলা জামায়াত অফিস থেকে গ্রেফতার হয়ে ১৫ দিন কারাগারে ছিলেন। কিন্তু কোনো বাধা, কোনো ভয় তাকে তার নীতি ও আদর্শের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।তিনি বিশ্বাস করেন—“জনগণের সেবা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি ইবাদত। আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমার অঙ্গীকার।অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল আজও ন্যায়, নীতি ও জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে অটল থেকে সমাজ, রাজনীতি ও আইনের ক্ষেত্রে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণ তাকে চেনে এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সবসময় থাকেন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে।