দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ‘ঈগল’ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থকদের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস শুরু হয়। উল্লাসে ও মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য অলিগলি। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার জনতা। নির্বাচনী প্রচারনার প্রথম দিনেই তার পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন দেখে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তারাও দিলীপ কুমারের পক্ষে আনন্দ- অনুভুতি প্রকাশ করছেন। 

আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সমর্থনে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মিছিলে-স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। প্রতীক বরাদ্দের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেসে আসে, ‘দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মার্কা ঈগল মার্কা’, ‘এবার ভোটের মার্কা ঈগল মার্কা’, ‘উন্নয়নের মার্কা ঈগল মার্কা’ ইত্যাদি স্লোগান। তার জনপ্রিয়তার বিষয়টি এখন চায়ের টেবিলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। জেলার রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন এবারের নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।া

এদিকে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে দিলীপ কুমারের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা তরতরিয়ে বাড়ছে। এলাকার সাধারন ভোটারদের দাবী, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হবেন। 

 খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, এ আসনে টানা তিন বার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সংসদ সদস্যেরও নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। কিন্তু তার কাজে অসন্তুষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর সংখ্যাও কম নয়। তাদের ভোট নীরবে দিলীপ কুমারের বাক্সে যেতে পারে বলে জানা গেছে। সাধারণ ভোটারদের দাবী, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দখলে যাবে। আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ঘরোয়া আলোচনায় ঈগল প্রতীকের জয়ের সম্ভাবনার বিষয়টি উঠে এসেছে।।

আরো জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা একজন হেবীওয়েট স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসাবে সকলের মুখে মুখে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একজন শিল্পপতি, সিআইপি সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার আছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও শক্তিশালী কর্মী বাহিনী। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের সমর্থনসহ থাকছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশাল ভোট ব্যাংক। 

জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজের মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তারা দেবী ফাউন্ডেশন, আর্ত মানবতার সেবাই কাজ করে চলেছে। তিনি অসহায় মানুষ ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে সাধারন মানুষের সুনজরে আসেন। তাই এলাকার সাধারন ভোটারদের দাবী, এবার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ঈগল মার্কা নিয়েই সংসদে যাবেন, এখন শুধু ৭ জানুয়ারী ভোটের দিনের অপেক্ষা