পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিকেলের মধ্যেই জানাজা শেষে একে একে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আশেপাশের গ্রামের লোকজনও এক নজর লাশ দেখতে ভিড় জমান মৃতদের বাড়িতে।
গত ১৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরে একটি সোফা কারখানা অগ্নিকাণ্ডে নয়জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি সাতজন, যাদের চারজন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়া ও বড়মাধাইমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
মৃতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার প্রবাসী গ্রাম নামে পরিচিত বারইপাড়া গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, তার ভাতিজা শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন রুবেল এবং বড়মাধাইমুরি গ্রামের আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার।
লাশ আসার পর মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয় রুবেল হোসেনের বাড়িতে। ঠিক দশ মাস আগে মরিয়মের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে বিয়ে হয় প্রবাসী রুবেল হোসেনের। এরমধ্যে আসি আসি করেও ছুটি না পাওয়ায় বাড়ি এসে বউয়ের মুখ দেখা হয়নি তার। এবার ছুটি হয়েছে তবে চিরবিদায়ের।
তাই বুধবার দুপুরে বাগমারার বাড়ইপাড়া গ্রামে রুবেলের লাশ আনা হয় কফিনে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে প্রায় ছয় বছর আগে সৌদি আরবে যান রুবেল।
এর কিছুক্ষণ আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় সাজেদুল ইসলাম এবং আরিফের লাশ। সম্পর্কে তারা চাচা ভাতিজা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্বজনরা। পরিবারের আহাজারিতে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। আশপাশের এলাকাবাসীও এক নজর লাশ দেখতে ভিড় জমান।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান জানান, ঐ চারজনের লাশ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে লাশগুলো নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে করে। সরকারি উদ্যোগে লাশ আনাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তার দেওয়া হয়েছে
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম বনি ইয়ামিন (এল এল এম- ইবি)
প্রধান সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ হক
অক্সফোর্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড