অনশনরত তরুণী জানান, এক বছর আগে উপজেলার কালিশুরী নিউ লাইফ কেয়ারের স্টাফ নার্স শিমলার সঙ্গে পৌর শহরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের পরিচালক তুহিন গোলদারের পরিচয় হয়। একসময় তুহিন গোলদার শিমলার কর্মস্থলে সেবা নিতে যেতেন। সেই সূত্রে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। এরপর প্রেমিক তুহিন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তারা কর্মস্থলে একাধিকবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাত্রিযাপন করেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিক তুহিনের বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এছাড়া তুহিন ডায়াগনস্টিক ব্যবসা শুরু করতে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাইলে সরল বিশ্বাসে তাকে টাকা দেন ওই তরুণী। সবশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিমলাকে তার প্রেমিক তুহিন তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেও দুজনে আরেক দফা শারীরিক সর্ম্পকে মিলিত হন।
গতকালের বিষয়টি তুহিনের পরিবারের লোকজনের চোখে পড়লে ভোল পাল্টে ফেলেন তুহিন। মারধর করে শিমলাকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর্যায়ে পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তালাবদ্ধ বাড়ির সামনে অবস্থান নেন শিমলা। দুই মাস আগেও একবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। সে সময় আলোচনা করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দিয়ে তাকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ফিরিয়ে দেন। এমন অবস্থায় প্রেমিক তুহিন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলেও জানান শিমলা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে থাকায় তাদের মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম বনি ইয়ামিন (এল এল এম- ইবি)
প্রধান সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ হক
অক্সফোর্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড