এখন পর্যন্ত এ খবরটি সর্বমোট দেখা হয়েছে 1,105
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট এম এ জলিলঃ-
রাজ-নীতির আবিধানিক অর্থ আমরা দু-ধরনের পাই। (এক)-যে নীতি সকল নীতির উর্ধে তাহাকে রাজ-নীতি বলে. (দুই)-রাজার নীতিই রাজ-নীতি। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই হযরত মুহাম্মদ (সঃ)এর জীবন দশায় তিনি সত্য ছিলো তার ফাউন্ডেশন সত্য ও ন্যায়ের উপর দাড়িয়ে। তিনি দু-জাহানের বাদশাহী করে গেছেন। তিনি ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তার জীবন দশায় কখনো তিনি মিথ্যার সাথে আপোষ করেননি। তিনার উফাতের পর তারই দৈহিত্র ঈমাম হাসান( রাঃ) ও ঈমাম হুসাইন (রা) কারবালার মাঠে ফুরাত নদীর তীরে তিনি ও তার বংশ জীবনের শেষ রক্ত-বিন্দু দিয়ে গেছেন সত্য ও শান্তির পতাকা উর্ধে তুলে ধরার জন্য। এসব নীতি ও আদর্শ হলো নীতির রাজা। রাজ-নীতি সুলতানি শাসন আমল দেখেছি সুলতান সুলেমান তার বংশ ধররা ভারত থেকে পারশ্য পর্যন্ত দীর্ঘদিন শাসন করছে তবে সেখাসে বাইজি.রক্ষিতা শরাই খানা সেচ্ছাচারিতা সবই ছিলো রাজার নীতি. রাজনীতি। পলাশি থেকে ধানমন্ডি বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান বাংলা-বিহার উড়িষ্যার নবাব আলীবদ্দি খাঁর দৌহিত্র নবাব সিরাউদ্দৌলা ১৭৫৭খৃঃ লর্ড-ক্লাইভের লোভের টোপে. মীর-জাফর আলী খাঁর বিশ্বাস ঘাতকতার ফলে পলাশির আম্রকাননে ইংরেজদের সাথে’ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মীর-জাফরের পুত্র মিরনের হুকুমে মুহাম্মদি বেগের গুপ্ত হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলা.বিহার.উড়িষ্যার শেষ স্বাধীনতার সুর্য্য অস্তমিত হয়.প্রায় দু-শত বছর বাংলা ও বাঙ্গালী জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়। তখনো বাঙ্গালী দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুজতে পারেনি এই হতভাগা বাঙ্গালী। বাংলা ও বাঙ্গালী জাতির পিতা যার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলার জন্ম হত না সেই মহান মুজিব.শেখ মুজিবরের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বেঈমান মোশতাকের বিশ্বাস ঘাতকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরকে স্ব -পরিবারে ধানমন্ডি ৩২ নন্বর বাড়িতে বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে হত্যা করা হয়। তার পর থেকে বাংলার মসনদে বসে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতি হারায় এক মহান নেতাকে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ১৯৯৬ সালে আঃলীগ ক্ষমতায় আসে এর পর ২০০১ সালে ১লা অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বি এন পি ক্ষমতায় আসে। সু-দীর্ঘ ৭ বছর আন্দোলন ও লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে আঃলীগ ক্ষমতায় আসে। বর্তমানে দলে অনু প্রবেশ কারী দুর্বৃত্তরা সামনের কাতার থেকে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে দুর্বত্তায়ন করছে। সময় থাকতে যদি এদেরকে চিন্হিত করে দল থেকে বাহির না করা যায়, তাহলে ইতিহাসের পুনর্বৃত্তি ঘটতে পারে।। ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারি-স্বৈরশাসক ক্যান্টনম্যান্ট হতে বেরিয়ে এসে অবৈধ পন্থায় নলের আগায় ক্ষমতা দখল করে জোর পুর্বক জাতির ঘাড়ে জগদল পাথরের মত চেপে বসে। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। ডাঃ মিলনে রক্তের মধ্য দিয়ে ৯০ এর গন-অভুন্থানের মাধ্যমে স্বৈরাশাসক এরশাদের পতন হয়। ৯০ এর আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি দল-মত ধর্ম -বর্ণ সকলেই এক-কাতারে রাজ-পথে দড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে ছিল। ৯০দশকের পর থেকে রাজ-নীতিতে শিল্প পতিদের দলে ভেড়াতে লবিং শুরু করে বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। ডেকে ষাঁড় পোয়াল গাদায় এনে রাজনীতি বিদরা পোয়াল পাহারায় ব্যাস্ত সময় পার করতে লাগে আর এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা রাজনৈতিক তকমা গায়ে লাগিয়ে কালোটাকা ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে রাতারাতি রাজনৈতিক নেতা বনে যান।শুরু হয় দূর্বৃত্তায়ন।দিনে দিনে তারা অপতিরোধ্য হয়ে ওঠে।সত্যিকারের ত্যাগী রাজনীতিবিদরা তাদের হুঙ্কারে দিনদিন কোনঠাশা হয়ে পড়ে। সময় থাকতে তাদের লাগাম টেনে না ধরলে দেশ ও জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে।
(এম এ জলিল। সভাপতি কার্পসডাঙ্গা প্রেসক্লাব )
মতামত জানান