চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজারে দেখা গেলো অন্যরকম দৃশ্য। পানের হাট ও বাজারজুড়ে মানুষের ঢল, হাতে ধানের শীষের প্রতীক আর মুখে নানান স্লোগান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের গণসংযোগকে ঘিরে সকালে ভীন্ন আবহ তৈরি হয় পুরো পানের হাট এলাকায়। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাতটায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি পরিণত হয় মিলনমেলায়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় টানা গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচারণা চালাচ্ছেন শরীফুজ্জামান শরীফ। এই কর্মসূচিতে তার উপস্থিতি মুন্সিগঞ্জ পানের হাট এলাকায় উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয় নেতাকর্মী ও জনতার মাঝে। কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষ শরীফুজ্জামান শরীফের সঙ্গে হাত মেলান, শুভেচ্ছা জানান, দোয়া করেন।
গণসংযোগকালে শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি নতুন প্রত্যাশার মোড়ে দাঁড়িয়ে। মানুষ আর ভয় পায় না, তারা পরিবর্তন চায়, ন্যায়বিচার চায়। ধানের শীষ আজ সেই পরিবর্তনের প্রতীক, যা অন্যায়ের রাজনীতি ভেদ করে জনগণের বিশ্বাসের বাতিঘর হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণই বিএনপির শক্তি, বিএনপির আত্মবিশ্বাস। ষড়যন্ত্র বা ভয় দেখিয়ে এই দলের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। চুয়াডাঙ্গা দুই আসনে ধানের শীষের বিজয় হবে উন্নয়ন, ন্যায় ও গণতন্ত্রের বিজয়।’
শরীফুজ্জামান বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি শুধু রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, এটি ন্যায্য ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। যেখানে বেকার যুবকেরা পাবে কর্মসংস্থন, কৃষক পাবে মূল্য, আর জনগণ পাবে ভোটাধিকার। এখন আমাদের দায়িত্ব ৩১ দফা কর্মসূচির এই বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না, চাই জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা। বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণই পরিবর্তনের চালিকা শক্তি। ধানের শীষের বিজয় হবে দেশের মানুষের স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ।’
পানের হাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েক ঘণ্টাব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগের পর শরীফুজ্জামান হাট থেকে চলে যাওয়ার পরেও মুন্সিগঞ্জ বাজার এলাকায় ছিল উষ্ণ আমেজ। তরুণ-প্রবীণ নির্বিশেষে মানুষের অংশগ্রহণে এই এলাকায় বিএনপির রাজনীতি আরও প্রাণবন্ত হয় উঠেছে।
গণসংযোগকালে শরীফুজ্জামানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেহালা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহিদুজ্জামান মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন খান আলা, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এহসানুল হক স্বরাজ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান শেখন, আবু সাইদ, রুবেল, রনি, আবিদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।