১১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

ডিমে আছে প্রোটিন,খেতে হবে প্রতিদিন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

 

এরপর প্রাণীসম্পদ বিভাগ ও জেলা প্রশাশনের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এস.এম.মাহমুদুল হক ও গীতা পাঠ করেন উত্তম কুমার দেবনাথ।

 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জীবননগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিনহাজুল ইসলাম, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডা.আ হ ম শামিমুজ্জামান। ডিম দিবসের ওপর কী নোট উপস্থাপন করেন সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের ব্যবস্থাপক সাদ্দাম হোসেন। কি নোটে বলা হয়, ডিমকে বলা হয় সুপার ফুড।

 

ভিটামিন সি ছাড়া প্রায় সকল ধরণের পুষ্টি উপাদান এতে বিদ্যমান রয়েছে। ডিমের প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত করে। ডিমে বিদ্যমান লিউটিন,জিয়াজেন্থিন ও ক্যারোনিটিনয়েড চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে ও শরীরকে সবল ও কর্মক্ষম রাখে। ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন ডি ও ফসফরাস শরীরের হাড় ও দাঁত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বছরে ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। এ জেলায় ডিমের চাহিদা বছরে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৬১৬টি। জেলায় ডিম উদ্বৃত্ত থাকে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৪টি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন খামারী ইমান আলী ও সেলিম রেজা।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা.আতিবুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপিসহ খামারীরা।

জনপ্রিয়

দামুড়হুদায় পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা

চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

 

ডিমে আছে প্রোটিন,খেতে হবে প্রতিদিন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

 

এরপর প্রাণীসম্পদ বিভাগ ও জেলা প্রশাশনের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এস.এম.মাহমুদুল হক ও গীতা পাঠ করেন উত্তম কুমার দেবনাথ।

 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জীবননগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিনহাজুল ইসলাম, কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডা.আ হ ম শামিমুজ্জামান। ডিম দিবসের ওপর কী নোট উপস্থাপন করেন সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামারের ব্যবস্থাপক সাদ্দাম হোসেন। কি নোটে বলা হয়, ডিমকে বলা হয় সুপার ফুড।

 

ভিটামিন সি ছাড়া প্রায় সকল ধরণের পুষ্টি উপাদান এতে বিদ্যমান রয়েছে। ডিমের প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত করে। ডিমে বিদ্যমান লিউটিন,জিয়াজেন্থিন ও ক্যারোনিটিনয়েড চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে, মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে ও শরীরকে সবল ও কর্মক্ষম রাখে। ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন ডি ও ফসফরাস শরীরের হাড় ও দাঁত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় বছরে ২৩ কোটি ৭০ লাখ ডিম উৎপাদন হয়। এ জেলায় ডিমের চাহিদা বছরে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৬১৬টি। জেলায় ডিম উদ্বৃত্ত থাকে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৪টি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন খামারী ইমান আলী ও সেলিম রেজা।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা.আতিবুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপিসহ খামারীরা।