০৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাইলাতুল কদরের এতো মর্যাদা কেন, ফজিলত কী?

  • Update Time : ১২:৪২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • 372

 

লাইলাতুল কদরের এতো মর্যাদা কেন, ফজিলত কী

কুরআন অনুযায়ী, এই একটি রাত এক হাজার মাস বা প্রায় ৮৩ বছরের চেয়েও উত্তম! অর্থাৎ এই রাতে একজন মানুষকে খাওয়ানো, অন্য সময়ে ৩০,০০০ মানুষকে খাওয়ানোর চেয়েও উত্তম। এই রাতে ২ রাকাত নামাজ পড়া, অন্য সময়ে ৬০ হাজার রাকাত নামাজ পড়ার চেয়েও উত্তম।

যদিও সংখ্যায় চেয়ে মানের দিকেই অধিক নজর দিতে বলা হয়েছে। তারপরও, সংখ্যা দিয়ে এর গুরুত্ব কিছুটা হলেও বোঝা যায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাতের এতো মর্যাদা কেন?

কুরআনে সূরা আল-কদরে যা বলা হয়েছে, সে অনুযায়ী বলতে হয়; এই রাতের মর্যাদার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এই রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন তার সমহিমায় ঊর্ধ্ব আকাশ থেকে পৃথিবীতে এসেছে, যেন মানুষ এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

সুতরাং কুরআন এই রাতে নাজিল হয়েছে বলেই যদি এই রাতের এতো মর্যাদা হতে পারে, তাহলে যার উপরে নাজিল হয়েছে, সেই রহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ ﷺ – এর মর্যাদা কতখানি! আর স্বয়ং সেই কুরআনের মর্যাদা এবং গুরুত্বই বা কতখানি!

সেই সঙ্গে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা এই মহাপবিত্র ঐশী গ্রন্থকে বোঝার এবং মানার চেষ্টাও করেনি, তারাই বা কতখানি হতভাগা!

পুনশ্চঃ রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরকে খুঁজতে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ্‌ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন। আমার প্রতি যারা বুঝে বা না বুঝে কোনোদিন কোনো অন্যায় করেছেন, মহান আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। আমি নিজেও বুঝে বা না বুঝে যাদের উপরে অন্যায় করেছি, তাদের সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আশাকরি, মহান আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে আমাকেও আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন এবং চূড়ান্ত সফলতা প্রাপ্ত হওয়ার তৌফিক দিন। আমিন

Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমন: কার্তিকের শেষে তাপমাত্রা ১৫.৮° সেলসিয়াস।

লাইলাতুল কদরের এতো মর্যাদা কেন, ফজিলত কী?

Update Time : ১২:৪২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

 

লাইলাতুল কদরের এতো মর্যাদা কেন, ফজিলত কী

কুরআন অনুযায়ী, এই একটি রাত এক হাজার মাস বা প্রায় ৮৩ বছরের চেয়েও উত্তম! অর্থাৎ এই রাতে একজন মানুষকে খাওয়ানো, অন্য সময়ে ৩০,০০০ মানুষকে খাওয়ানোর চেয়েও উত্তম। এই রাতে ২ রাকাত নামাজ পড়া, অন্য সময়ে ৬০ হাজার রাকাত নামাজ পড়ার চেয়েও উত্তম।

যদিও সংখ্যায় চেয়ে মানের দিকেই অধিক নজর দিতে বলা হয়েছে। তারপরও, সংখ্যা দিয়ে এর গুরুত্ব কিছুটা হলেও বোঝা যায়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাতের এতো মর্যাদা কেন?

কুরআনে সূরা আল-কদরে যা বলা হয়েছে, সে অনুযায়ী বলতে হয়; এই রাতের মর্যাদার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এই রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন তার সমহিমায় ঊর্ধ্ব আকাশ থেকে পৃথিবীতে এসেছে, যেন মানুষ এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

সুতরাং কুরআন এই রাতে নাজিল হয়েছে বলেই যদি এই রাতের এতো মর্যাদা হতে পারে, তাহলে যার উপরে নাজিল হয়েছে, সেই রহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ ﷺ – এর মর্যাদা কতখানি! আর স্বয়ং সেই কুরআনের মর্যাদা এবং গুরুত্বই বা কতখানি!

সেই সঙ্গে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা এই মহাপবিত্র ঐশী গ্রন্থকে বোঝার এবং মানার চেষ্টাও করেনি, তারাই বা কতখানি হতভাগা!

পুনশ্চঃ রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরকে খুঁজতে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ্‌ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন। আমার প্রতি যারা বুঝে বা না বুঝে কোনোদিন কোনো অন্যায় করেছেন, মহান আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। আমি নিজেও বুঝে বা না বুঝে যাদের উপরে অন্যায় করেছি, তাদের সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আশাকরি, মহান আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে আমাকেও আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন এবং চূড়ান্ত সফলতা প্রাপ্ত হওয়ার তৌফিক দিন। আমিন