০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান একজন অসহায় নারীর  ফোন পেয়ে ছুটে গেলেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা নিয়ে

  • Update Time : ০৮:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • 125

 

 

 

হাফিজুর রহমান : দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, রেললাইনের অপজিটে মসজিদের পাশের মৃত পীরু মিয়ার মেয়ে  রীতা খাতুন গতকাল রবিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান নিকট মোবাইলে ফোন দিয়ে 

তার অসহায়ত্ব আর দারিদ্রের কথা উপস্হাপন করে এবং কিছু সহায়তা প্রত্যাশা করে। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিকাল ৪ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান  কিছু খাদ্য সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নিজ হাতে তুলে দেন রীতা খাতুনের নিকট।

 

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন অধিকাংশ দিনই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত, কর্মহীন, অসহায় মানুষের  বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় যা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়না। কিন্তু, আজ বিষয়টা লিখতে ইচ্ছে করলো কারণ রীতা আমাকে আজ অনেক কিছু শিখিয়েছে যা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না।

 

রীতার বয়স মাত্র ৩৪। কিন্তু দারিদ্র্য, শারীরিক অসুস্হতা আর মানসিক টানাপোড়নে আজ প্রৌঢ়ত্ব ছুঁয়ে গেছে তাকে। যে বয়সে স্বামী সন্তানসহ সুখে সংসার করার কথা ছিল, সে বয়সে সে তার বিধবা মায়ের কাঁধে গলগ্রহের মতো দিন যাপন করছে। ২৩ বছর বয়সে ব্রেন স্ট্রোক করে সে। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সহায় সম্বলহীন রীতা তখন থেকে তার মায়ের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করে। তার মা ৩ বার স্ট্রোক করেছেন। তারপরও তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ের ব্যবসা করে কোন রকম অন্নের সংস্হান করেন। রীতা ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না,দাঁড়াতে পারছে না, ক্লান্ত কন্ঠে সে আমাকে জানায় শত দারিদ্রের কষাঘাত, অসুস্হতাতেও সে বিচলিত হয় না। যেভাবে সে আল্লাহর ইবাদত করছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এভাবেই যেন সে ঈমান ধরে রাখতে পারে।

 

আমি অবাক হয়ে শুনেছি তার কথা। কোন পার্থিব প্রতিকূলতা – ই তার ঈমাণী জ্যোতিকে নিষ্প্রভ করতে পারেনি। অথচ আমরা আল্লাহর হাজার নিয়ামতের মধ্যে থেকেও ক্ষুদ্র কোন অপ্রাপ্তির শূণ্যতায় বিচলিত হয়ে যাই প্রায়শই।

 

আমাদের দেখে রীতা আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। তার একটা ফোনে তার বাড়ী সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় আনন্দ অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করছিল মুহুর্মুহু। সর্বোপরি, রীতার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বড় অংকের টাকা। রীতার দাবী  যদি কোন সহৃদয়বান, সুশীল সমাজ তার পাশে দাঁড়ায় তবে সে হয়তো সুস্হভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাকে দেখে অন্যান্যরাও ইসলামী জীবনাচরণে উদ্বুদ্ধ হবে। আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

এমনি ভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা বাসি প্রত্যাশা করেন এবং দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান এর প্রতি  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ পেলেন খালিদ মাহমুদ খান

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান একজন অসহায় নারীর  ফোন পেয়ে ছুটে গেলেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা নিয়ে

Update Time : ০৮:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

 

 

 

হাফিজুর রহমান : দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড, রেললাইনের অপজিটে মসজিদের পাশের মৃত পীরু মিয়ার মেয়ে  রীতা খাতুন গতকাল রবিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান নিকট মোবাইলে ফোন দিয়ে 

তার অসহায়ত্ব আর দারিদ্রের কথা উপস্হাপন করে এবং কিছু সহায়তা প্রত্যাশা করে। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিকাল ৪ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান  কিছু খাদ্য সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নিজ হাতে তুলে দেন রীতা খাতুনের নিকট।

 

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন অধিকাংশ দিনই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত, কর্মহীন, অসহায় মানুষের  বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় যা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়না। কিন্তু, আজ বিষয়টা লিখতে ইচ্ছে করলো কারণ রীতা আমাকে আজ অনেক কিছু শিখিয়েছে যা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না।

 

রীতার বয়স মাত্র ৩৪। কিন্তু দারিদ্র্য, শারীরিক অসুস্হতা আর মানসিক টানাপোড়নে আজ প্রৌঢ়ত্ব ছুঁয়ে গেছে তাকে। যে বয়সে স্বামী সন্তানসহ সুখে সংসার করার কথা ছিল, সে বয়সে সে তার বিধবা মায়ের কাঁধে গলগ্রহের মতো দিন যাপন করছে। ২৩ বছর বয়সে ব্রেন স্ট্রোক করে সে। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সহায় সম্বলহীন রীতা তখন থেকে তার মায়ের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করে। তার মা ৩ বার স্ট্রোক করেছেন। তারপরও তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ের ব্যবসা করে কোন রকম অন্নের সংস্হান করেন। রীতা ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না,দাঁড়াতে পারছে না, ক্লান্ত কন্ঠে সে আমাকে জানায় শত দারিদ্রের কষাঘাত, অসুস্হতাতেও সে বিচলিত হয় না। যেভাবে সে আল্লাহর ইবাদত করছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এভাবেই যেন সে ঈমান ধরে রাখতে পারে।

 

আমি অবাক হয়ে শুনেছি তার কথা। কোন পার্থিব প্রতিকূলতা – ই তার ঈমাণী জ্যোতিকে নিষ্প্রভ করতে পারেনি। অথচ আমরা আল্লাহর হাজার নিয়ামতের মধ্যে থেকেও ক্ষুদ্র কোন অপ্রাপ্তির শূণ্যতায় বিচলিত হয়ে যাই প্রায়শই।

 

আমাদের দেখে রীতা আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। তার একটা ফোনে তার বাড়ী সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় আনন্দ অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করছিল মুহুর্মুহু। সর্বোপরি, রীতার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বড় অংকের টাকা। রীতার দাবী  যদি কোন সহৃদয়বান, সুশীল সমাজ তার পাশে দাঁড়ায় তবে সে হয়তো সুস্হভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাকে দেখে অন্যান্যরাও ইসলামী জীবনাচরণে উদ্বুদ্ধ হবে। আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

এমনি ভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা বাসি প্রত্যাশা করেন এবং দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান এর প্রতি  কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।