হাফিজুর রহমান : জীবন যুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান, সম্প্রতি জন্ম দেওয়া ৩ সন্তানের জননী শিখাকে সেলাই মেশিন ও ৩ কন্যার জন্য দুধের কৌটা উপহার।
দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের শিখা ২ মেয়ের জননী। অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন এবারের সন্তান কখন ভূমিষ্ট হবে। অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে ঘর আলো করে ৩ কন্যা একসাথে জন্ম দিলো শিখা।
কিন্তুু দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত শিখা আজ দিশেহারা। তার ৩ টি মেয়েই ইমম্যাচিউর অবস্হায় জন্মগ্রহণ করেছে। আবার সবাই একসাথে মায়ের কাছ থেকে ঠিকমতো খাবারও পাচ্ছে না। ৩ নবজাতকের জন্য ডাক্তার যে কৌটার দুধ সাজেস্ট করেছেন সে কৌটার দাম ৭৯০ টাকা। প্রতিমাসে এত টাকার দুধ কিনে খাওয়ানো আজ সাধ্যের বাইরে তার। স্বামী সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোন কর্মের সংস্হান করতে পারেননি। স্ত্রী -সন্তানের জন্য কোন অর্থ পাঠাতে সে ব্যর্থ। এত ব্যর্থতা, দারিদ্র আর অনটনের মধ্যে ৫ কন্যাসহ শিখা আজ বাবার আশ্রয়ে দিনযাপন করছে।
দামুড়হুদা সদরের চেয়ারম্যান সাহেব তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। কখনও কন্যাদের জন্য দুধের কৌটা, কখনও নতুন জামা দিয়ে তাদের সাহায্যের চেষ্টা করেছেন। এবং দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন আমাকেও অনুরোধ করেন যেন তাদের কোন একটা ব্যবস্হা যেন করে দিই। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল দুপুর ২ টার সময় পাটাচোরা গ্রামে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে আমি শিখাকে সেলাই মেশিন এবং ৩ কৌটা দুধ উপহার নিজ হাতে তুলে দিয়।
এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমেই শিখা যেন তার সংসারের হাল ধরতে পারে। তার ৫ কণ্যারা যেন সুস্হভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তার সদ্যজাত ৩ কন্যা যেন খাবারের অভাবে অপুষ্টির শিকার না হয়। তারা যেন প্রকৃত অর্থেই চাঁদের আলো হয়ে জোৎস্নালোকিত করে দেয় শিখার জীবন।।




















