০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় ৯৯৯ এ কল/ চার ছাত্রকে উদ্ধার করলো পুলিশ

  • Update Time : ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩
  • 158

আলমডাঙ্গার হারদিতে তুচ্ছ ঘটনায় চার কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মিন্টুর বিরুদ্ধে।

গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হারদি এলাকার ডিসমোড়ে একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত চার কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত কলেজ ছাত্ররা হলেন, সিয়াম উদ্দিন, নাঈম, শুভ ও ইমরান। এরা প্রত্যেকে আলমডাঙ্গার হারদী এম,এস জোহা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

ভুক্তোভোগী ছাত্ররা বলেন, আমাদের ছাত্রাবাসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা কার্নিভাল প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি। এই প্রতিষ্ঠানের অনু ডিভাইজ (অপটিক্যাল সিগন্যাল কে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল এ রূপান্তর করে) ঘরের মধ্যে থাকায় বাইরে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় প্রতিনিধি মিন্টুকে তাগিদ দেয়া হয়। রোববার রাতে অনু ডিভাইজ সরিয়ে নেয়ার জন্য ১ হাজার টাকা সার্ভিজ চার্জ দাবি করে। অতিরিক্ত চার্জ দিতে আপত্তি করলে মিন্টুর সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিন্টুর হাতে থাকা লোহার সেলাই রেঞ্জ দিয়ে শিক্ষার্থী সিয়ামের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে শিক্ষার্থী নাইম, শুভ ও ইমরানকে হাত দিয়ে কিল ঘুষি মেরে আহত করে।

বিষয়টি তাৎক্ষনিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আমাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

আহত সিয়াম উদ্দিনের মামা নজির উদ্দিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাগ্নের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মিন্টু। হারদি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার মাথায় সিটিস্ক্যান করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ।

ইন্টানেট ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, সার্ভিস চার্জ ১হাজার টাকা বলায় শিক্ষার্থীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। এতে আমার হাত কেটে গেছে। আমিও পালটা হামলা করেছি।

Tag :
জনপ্রিয়

চুয়াডাঙ্গায় শীতের আগমন: কার্তিকের শেষে তাপমাত্রা ১৫.৮° সেলসিয়াস।

আলমডাঙ্গায় ৯৯৯ এ কল/ চার ছাত্রকে উদ্ধার করলো পুলিশ

Update Time : ১১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

আলমডাঙ্গার হারদিতে তুচ্ছ ঘটনায় চার কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মিন্টুর বিরুদ্ধে।

গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হারদি এলাকার ডিসমোড়ে একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত চার কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত কলেজ ছাত্ররা হলেন, সিয়াম উদ্দিন, নাঈম, শুভ ও ইমরান। এরা প্রত্যেকে আলমডাঙ্গার হারদী এম,এস জোহা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

ভুক্তোভোগী ছাত্ররা বলেন, আমাদের ছাত্রাবাসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা কার্নিভাল প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি। এই প্রতিষ্ঠানের অনু ডিভাইজ (অপটিক্যাল সিগন্যাল কে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল এ রূপান্তর করে) ঘরের মধ্যে থাকায় বাইরে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় প্রতিনিধি মিন্টুকে তাগিদ দেয়া হয়। রোববার রাতে অনু ডিভাইজ সরিয়ে নেয়ার জন্য ১ হাজার টাকা সার্ভিজ চার্জ দাবি করে। অতিরিক্ত চার্জ দিতে আপত্তি করলে মিন্টুর সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিন্টুর হাতে থাকা লোহার সেলাই রেঞ্জ দিয়ে শিক্ষার্থী সিয়ামের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে শিক্ষার্থী নাইম, শুভ ও ইমরানকে হাত দিয়ে কিল ঘুষি মেরে আহত করে।

বিষয়টি তাৎক্ষনিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আমাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

আহত সিয়াম উদ্দিনের মামা নজির উদ্দিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাগ্নের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মিন্টু। হারদি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার মাথায় সিটিস্ক্যান করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ।

ইন্টানেট ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, সার্ভিস চার্জ ১হাজার টাকা বলায় শিক্ষার্থীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। এতে আমার হাত কেটে গেছে। আমিও পালটা হামলা করেছি।