১২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামী আটক

  • Update Time : ১১:৪২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ৪৩ Time View

 

মেহেরপুর গাংনীর উত্তরপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর পর্নোগ্রাফির মামলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা (বেলতলাপাড়া) গ্রামের রফিকুল ইসলামকে (৪৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রাতে আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনোজিৎ কুমার নন্দী গ্রেফতার করেন।

রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা বেলতলাপাড়ার মরহুম ফজের আলীর ছেলে।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর করা মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। এতে রাজি না হওয়ায় আসামি তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মান-সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী সংসার ছেড়ে রবিউল ইসলামকে বিয়ে করেন।

কিন্তু সংসারে ১৫ দিনের মাথায় জানতে পারে রবিউল ইসলামের আরো একজন স্ত্রী রয়েছে। তাই তিনি রবিউল ইসলামের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্বের স্বামীর কাছে চলে আসেন।

এরপর আসামি রবিউল ইসলাম বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে ১৫ দিনের সংসার জীবনের বিভিন্ন শারীরিক সম্পর্কের গোপনে ধারণ করা ভিডিও বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠিয়ে সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করেন।

রবিউল ইসলাম ইতোপূর্বে গোপনে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও তার বর্তমান স্বামীর জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। এতে তিনি কখনো চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও গাংনী এলাকার কয়েকটি বাড়িতে নিয়ে তার সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে।

কিছুদিন পূর্বে তিনি অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তার ১১ বছর বয়সী শিশু লিজনকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যান। পরে বাদি রবিউল ইসলামের সাথে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় বলেও জানান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আসামি ২ এপ্রিল নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে সংসার ভেঙে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী শুক্রবার রাতে রবিউল ইসলামকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নগ্নছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। অন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ও মানসিকভাবে মান মর্যাদাহানি করার অপরাধ আইনে মামলা করেন।

গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বিয়ষটি নিশ্চত করে বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাইদুর রহমানের দাফন সম্পন্ন।

গাংনীতে স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামী আটক

Update Time : ১১:৪২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

 

মেহেরপুর গাংনীর উত্তরপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর পর্নোগ্রাফির মামলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা (বেলতলাপাড়া) গ্রামের রফিকুল ইসলামকে (৪৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রাতে আসামি রবিউল ইসলামকে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মনোজিৎ কুমার নন্দী গ্রেফতার করেন।

রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা বেলতলাপাড়ার মরহুম ফজের আলীর ছেলে।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর করা মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামি রবিউল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। এতে রাজি না হওয়ায় আসামি তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মান-সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী সংসার ছেড়ে রবিউল ইসলামকে বিয়ে করেন।

কিন্তু সংসারে ১৫ দিনের মাথায় জানতে পারে রবিউল ইসলামের আরো একজন স্ত্রী রয়েছে। তাই তিনি রবিউল ইসলামের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্বের স্বামীর কাছে চলে আসেন।

এরপর আসামি রবিউল ইসলাম বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে ১৫ দিনের সংসার জীবনের বিভিন্ন শারীরিক সম্পর্কের গোপনে ধারণ করা ভিডিও বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠিয়ে সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করেন।

রবিউল ইসলাম ইতোপূর্বে গোপনে ধারণ করা ছবি ও ভিডিও তার বর্তমান স্বামীর জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। এতে তিনি কখনো চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও গাংনী এলাকার কয়েকটি বাড়িতে নিয়ে তার সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে।

কিছুদিন পূর্বে তিনি অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তার ১১ বছর বয়সী শিশু লিজনকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যান। পরে বাদি রবিউল ইসলামের সাথে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়া হয় বলেও জানান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আসামি ২ এপ্রিল নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে সংসার ভেঙে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী শুক্রবার রাতে রবিউল ইসলামকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নগ্নছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। অন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ও মানসিকভাবে মান মর্যাদাহানি করার অপরাধ আইনে মামলা করেন।

গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বিয়ষটি নিশ্চত করে বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় আসামি রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।