১১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

  • Update Time : ০৬:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৩৬৩ Time View

রোজা মুসলমাদের ধর্মীর পাঁচটি স্তম্বের একটি। ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নামই সওম বা রোজা।

রমজান মাসের ৩০ দিনের রোজার ৩০টি ফজিলত রয়েছে। সেখানে প্রথম রমজানের ফজিলত সর্ম্পকে বলা হয়, ‘রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।’

এছাড়া, রোজা ও রমজান মাস নিয়ে আল কোরআনে বিভিন্ন সময় ‘সওম’ এর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আয়াত নাজিল হয়েছে।

হজরত মুহাম্মদ (স.) এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ২য় হিজরীর শাবান মাস থেকে রোজা শুরু হয়। সে সময় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়। সেখানে বলা হয় “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও”। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।

 

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فافطروا، فإن غم عليكم فصوموا ثلاثين،

وفي رواية : صوموا لرؤيته وأفطروا لرويته، فإن عم عليكم فاكملوا العدد.

যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮০ (১৭-১৮)

 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ কোরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘অতএব উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৬৯)

 

???????? আলোচক: মুফতি বনি ইয়ামিন

Tag :
জনপ্রিয়

আলমডাঙ্গার কুমারীতে রাজ্জাক খান রাজের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

Update Time : ০৬:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

রোজা মুসলমাদের ধর্মীর পাঁচটি স্তম্বের একটি। ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নামই সওম বা রোজা।

রমজান মাসের ৩০ দিনের রোজার ৩০টি ফজিলত রয়েছে। সেখানে প্রথম রমজানের ফজিলত সর্ম্পকে বলা হয়, ‘রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।’

এছাড়া, রোজা ও রমজান মাস নিয়ে আল কোরআনে বিভিন্ন সময় ‘সওম’ এর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আয়াত নাজিল হয়েছে।

হজরত মুহাম্মদ (স.) এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ২য় হিজরীর শাবান মাস থেকে রোজা শুরু হয়। সে সময় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয়। সেখানে বলা হয় “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও”। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।

 

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إذا رأيتم الهلال فصوموا وإذا رأيتموه فافطروا، فإن غم عليكم فصوموا ثلاثين،

وفي رواية : صوموا لرؤيته وأفطروا لرويته، فإن عم عليكم فاكملوا العدد.

যখন তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা রাখবে আর যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখবে, তখন থেকে রোযা বন্ধ করবে। আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে ত্রিশ দিন রোযা রাখবে।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮০ (১৭-১৮)

 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ কোরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘অতএব উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৬৯)

 

???????? আলোচক: মুফতি বনি ইয়ামিন