০৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যার পরপরই সড়কে নামে ভৌতিক নির্জনতা: নজরদারির অভাবে কোটি কোটি টাকার সোলার স্ট্রিট লাইট বিকল

  • Update Time : ১২:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭ Time View

 

শিমুল রেজা:
চুয়াডাঙ্গা জেলায় আশপাশের চারটি উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে আছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ফাঁকা মাঠের ভিতর, ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলাচল করার সময় ভৌতিক নির্জনতায় গা ঝিমঝিম করে। আবার চুয়াডাঙ্গা জেলার মহাসড়ক সহ বিভিন্ন মাঠের ভিতর দিয়ে রাস্তায় রাতের অন্ধকারে চোর ডাকাতের ভয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। জেলার ৪ টি উপজেলায় এমন অনেক রাস্তাঘাট ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধাপে ধাপে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করে রাতের অন্ধকারে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করেছিল গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি।

যে কারণে স্বস্তি ও নিরাপদে রাতের আঁধারে চলাচল করতে পারত এই জনপদের মানুষ। অনেক সময় দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রামের ভিতরে দেখা যেত ছেলে মেয়েরা এই সোলার স্ট্রিট লাইটের নিচে বসে পড়াশুনা করেছে। সন্ধ্যার সাথে সাথেই সক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠা এই লাইট গুলো। আবার ভোরে সূর্যের আলোতে নিভে যেত। কিন্তু সেই লাইট এখন চুয়াডাঙ্গার প্রতিটা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশটাই নষ্ট এগুলো মেরামত এবং দেখাশোনা করার কোনো ব্যক্তি নেই। তাই এলাকার সাধারণ লোকজন এক রকম হতাশাই প্রকাশ করেছেন।

সূত্র মতে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক প্রকল্প হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাবিখার চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা,দামুড়হুদা, জীবননগর, প্রতিটি উপজেলায় তথ্য নেওয়ার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে গেলে তারা বলেন নির্দিষ্ট কোনো ফাইল নেই এবং নির্দিষ্ট করে কোনো সোলার লাইটের স্থাপন ও খরচ সম্পর্কে পরিসংখ্যান দিতে পারেননি।

বর্তমান সময়ে এই সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণ বা পরবর্তীকালে মেরামতের জন্য কোনো ফান্ড না থাকার কারণে অনেকের নজরে আসছে না বিষয়টি। যে কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এক সময় অন্ধকার দূর করতে আলোকিত উপজেলা গড়তে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এখন যেন আবার গোটা উপজেলাব্যাপী আলোর পরে অন্ধকার নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, এই সব গুলো লাইট বসানোর কাজ করে প্রতি অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত স্ট্রিট লাইটের জন্য ৩ বছর মেয়াদী কোম্পানি কর্তৃক মেরামত করার কথা ছিল।এক্সপার্ট গ্রুপের ফাউন্ডার এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনএইচ রিমন আজকের খাস খবর কে বলেন,আমরা ইতিমধ্যে ৩ বছর মেয়াদ শেষ হওয়া লাইটগুলো আবেদনের মাধ্যমে পিআইও অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি। যেগুলোর মেয়াদ আছে অফিস সেগুলোন মেরামতের জন্য বললে আমরা মেরামত করে দিব

Tag :
জনপ্রিয়

পান বরজে আগুন, পুড়ে শেষ হলো কৃষকের স্বপ্ন

চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যার পরপরই সড়কে নামে ভৌতিক নির্জনতা: নজরদারির অভাবে কোটি কোটি টাকার সোলার স্ট্রিট লাইট বিকল

Update Time : ১২:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

শিমুল রেজা:
চুয়াডাঙ্গা জেলায় আশপাশের চারটি উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে আছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ফাঁকা মাঠের ভিতর, ফাঁকা রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলাচল করার সময় ভৌতিক নির্জনতায় গা ঝিমঝিম করে। আবার চুয়াডাঙ্গা জেলার মহাসড়ক সহ বিভিন্ন মাঠের ভিতর দিয়ে রাস্তায় রাতের অন্ধকারে চোর ডাকাতের ভয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। জেলার ৪ টি উপজেলায় এমন অনেক রাস্তাঘাট ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধাপে ধাপে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করে রাতের অন্ধকারে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করেছিল গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি।

যে কারণে স্বস্তি ও নিরাপদে রাতের আঁধারে চলাচল করতে পারত এই জনপদের মানুষ। অনেক সময় দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রামের ভিতরে দেখা যেত ছেলে মেয়েরা এই সোলার স্ট্রিট লাইটের নিচে বসে পড়াশুনা করেছে। সন্ধ্যার সাথে সাথেই সক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠা এই লাইট গুলো। আবার ভোরে সূর্যের আলোতে নিভে যেত। কিন্তু সেই লাইট এখন চুয়াডাঙ্গার প্রতিটা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিকাংশটাই নষ্ট এগুলো মেরামত এবং দেখাশোনা করার কোনো ব্যক্তি নেই। তাই এলাকার সাধারণ লোকজন এক রকম হতাশাই প্রকাশ করেছেন।

সূত্র মতে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক প্রকল্প হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাবিখার চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা,দামুড়হুদা, জীবননগর, প্রতিটি উপজেলায় তথ্য নেওয়ার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে গেলে তারা বলেন নির্দিষ্ট কোনো ফাইল নেই এবং নির্দিষ্ট করে কোনো সোলার লাইটের স্থাপন ও খরচ সম্পর্কে পরিসংখ্যান দিতে পারেননি।

বর্তমান সময়ে এই সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো অধিকাংশ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণ বা পরবর্তীকালে মেরামতের জন্য কোনো ফান্ড না থাকার কারণে অনেকের নজরে আসছে না বিষয়টি। যে কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এক সময় অন্ধকার দূর করতে আলোকিত উপজেলা গড়তে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এখন যেন আবার গোটা উপজেলাব্যাপী আলোর পরে অন্ধকার নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, এই সব গুলো লাইট বসানোর কাজ করে প্রতি অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত স্ট্রিট লাইটের জন্য ৩ বছর মেয়াদী কোম্পানি কর্তৃক মেরামত করার কথা ছিল।এক্সপার্ট গ্রুপের ফাউন্ডার এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এনএইচ রিমন আজকের খাস খবর কে বলেন,আমরা ইতিমধ্যে ৩ বছর মেয়াদ শেষ হওয়া লাইটগুলো আবেদনের মাধ্যমে পিআইও অফিসকে জানিয়ে দিয়েছি। যেগুলোর মেয়াদ আছে অফিস সেগুলোন মেরামতের জন্য বললে আমরা মেরামত করে দিব